কালীগঞ্জে সাংবাদিককে কুৃপিয়ে আহতের ঘটনায় থানায় মামলা

কালীগঞ্জে সাংবাদিককে কুৃপিয়ে আহতের ঘটনায় থানায় মামলা

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ লেখা হয়। আর এ কারণে সাংবাদিক মো. শামিম শেখ এর উপর একাধিকবার হামলা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ঘটনা মিমাংসা করার কথা বলে স্থাণীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর ফরাজী মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে পূণরায় সাংবাদিককে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহত সাংবাদিক মো. শামিম শেখকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনাটি বুধবার সকালে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও এলাকায় ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ ও স্থাণীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক মো. শামিম শেখ কিছুদিন আগে ডি নিউজ ২৪.কম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের চিহ্নিত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধ্যানী সংবাদ পরিবেশন করেন। উক্ত সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত বুধবার (৩১ জানুয়ারী) বড়গাঁও গ্রামের সাফির উদ্দীনের ছেলে ফয়সাল, সহিদুল্লাহর ছেলে সিয়াম, লতিফ মাষ্টারের ছেলে তুষার, মৃত তনু ফরাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর ফরাজী, জাহাঙ্গীর ফরাজীর ছেলে তারেক ফরাজী, সোলমান হাজীর ছেলে আল আমিন, ফাইজ উদ্দীনের ছেলে ওমর সানি সহ ৮/১০ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় সাংবাদিক মো. শামিম শেখ বাড়িতে না থাকায় তারা বাড়ির লোকজনকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি রাতেই কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমানকে অবগত করলে তিনি স্থাণীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর ফরাজীকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। বুধবার (১ ফেব্রæয়ারী) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে অভিযুক্তরা পূণরায় শামিম শেখের বাড়ীতে গিয়ে তাকে গালমন্দ করেন। ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করায় সিয়াম শামিমের উপর চড়াও হয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। শামিম শেখের চিৎকারে স্থাণীয়রা এগিয়ে আসলে হামলা কারীরা সুযোগমত হত্যা করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর ফরাজীকে সাথে নিয়ে হামলাকারীরা ঘটনা মিমাংসা করার কথা বলে শামিম শেখকে ডেকে নেয়। এ সময় তারা ১০/১২ টি মটর সাইকেলে করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনা মিমাংসার কোন উদ্যোগ না নিয়ে শামিমের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। তার ডাকচিৎকারে শামিম শেখের চাচা জমসের আলী এগিয়ে আসলে তাকেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে আহত করে। তাদের ডাক চিৎকারে স্থাণীয়রা এগিয়ে আসলে সুযোগমত একা পেলে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়। হামলায় আহত মো. শামিম শেখ জানান, আমি মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করায় তারা আমাকে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ বিষয়ে মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর ফরাজী বলেন, ওসি স্যার সাংবাদিক মো. শামিম শেখের বিষয়টি জানান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। সেমতে বুধবার সকালে আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে সেখানে উভয়ের মাঝে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতি হয়েছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ২ ফেব্রæয়ারী বিকেলে কালীগঞ্জ থানায় ২(২)২৩ নং মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের আটক করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন