‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০২০’ পেলেন আলোচিত ও আলোকিত ১০ নারী

‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০২০’ পেলেন আলোচিত ও আলোকিত ১০ নারী

প্রবাহবার্তা ডেস্ক : কৃষিকাজে ৩২ বছর ধরে যুক্ত ফরিদপুরের শাহীদা বেগম। ২০০৪ সাল থেকে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন তিনি। তার পেঁয়াজ বীজ দেশসেরা। গত বছর তিনি বীজ বিক্রি করেছেন চার কোটি টাকার। তার মাধ্যমে শত নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সফল এ উদ্যোক্তা পেলেন ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০২০’। তার মতো আরও ৯ জন উদ্যমী, সাহসী ও সফল নারী পাক্ষিক ম্যাগাজিন অনন্যার পক্ষ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। প্রতি বছর সমাজে আলোচিত ও আলোকিত নারীদের মধ্য থেকে ১০ জনকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্য ৯ জন হলেন- রাজনীতি ক্যাটাগরিতে কামরুন্নাহার জাফর, প্রযুক্তিতে লাফিফা জামাল, কৃষিতে অল্পনা রানী, নাট্যনির্মাণে চয়নিকা চৌধুরী, করপোরেট পেশায় স্বপ্না ভৌমিক, বিজ্ঞানে সেঁজুতি সাহা, অধিকারকর্মী বিভাগে তাসনুভা আনান, ক্রীড়ায় জাহানারা আলম ও লোক-ঐতিহ্যে রূপন্তী চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন দেশের সংগ্রামী নারীদের খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসছেন। আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের নানা নিয়ম-নীতির ফলেই মেয়েরা নিজ নিজ অঙ্গনে সফলতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, দেশের মেয়েরা অসাধারণ সব সাফল্য অর্জন করেছে। ফুটবল, ক্রিকেটসহ সব ধরনের খেলাধুলায় মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনন্যার সম্মাননা অনুপ্রেরণা জোগাবে।

পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, করোনা সংকটের পরে আমাদের জীবনযাপন পাল্টে যাচ্ছে। ভার্চুয়াল জগতের বাইরে এসে এভাবে সশরীরে অনুষ্ঠান করতে পারব- সেটা ভাবতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, আগে অনন্যা সম্মাননা প্রদানের জন্য দেশে ১০ জন সংগ্রামী নারীকে খুঁজে পেতে কষ্ট হতো। তবে এখন সম্মাননার জন্য ৫০ জনেরও বেশি সংগ্রামী নারীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। এটা অনন্যার জন্য খুব গর্বের বিষয়। এতে বোঝা যায়, দেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। তারা আর অবহেলিত থাকতে চান না। গত ২৮ বছরে ২৮০ জন নারী এ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

অনন্যা শীর্ষদশ জয়ীরা বলেন, এ পুরস্কার তাদের জন্য সম্মানের। এটা তাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। অনুষ্ঠানে সম্মাননা জয়ীদের নিয়ে নির্মাতা লেখক তাপস কুমার দত্তের তৈরি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করে ভৈরব।

অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল দারাজ ও হা-মীম গ্রুপ, বেভারেজ পার্টনার নেসকাফে, ব্রডকাস্টিং পার্টনার নেপাস টেলিভিশন, মিডিয়া পার্টনার দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, এটিএন নিউজ ও বাংলা ট্রিবিউন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ ভালোবাসা থেকেই বঙ্গবন্ধু যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল আনা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।

সিনেমা অঙ্গনকে ভালোবেসে এদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু অভিনীত সিনেমাটির নাম ‘সংগ্রাম’। ছবিটি পরিচালনা করেন প্রয়াত নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’। এতে ছোট্ট এক ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরু ও চাষী নজরুল ইসলামের অনুরোধে ছোট্ট ওই চরিত্রে অভিনয়ে রাজি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন ছবিটির নায়ক খসরু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজি হননি। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে অভিনয়ের জন্য তাকে রাজি করানো হয়।

‘সংগ্রাম’ ছবিটিতে নাযক ছিলেন খসরু আর নায়িকা সূচন্দা। ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায়।

বঙ্গবন্ধু যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন